ধর্ম ও জীবন – Akash Bangla https://www.akashbangla.com Online Newsportal Sat, 07 Jun 2025 16:37:46 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.9

Popularność płatności BLIK

Według NBP BLIK przekroczył 2,5 mld transakcji rocznie; większość polskich serwisów iGaming – w tym projekty podobne do Ice apk – wykorzystuje go jako główną metodę depozytu z konwersją powyżej 80% na sukces transakcji.

Szacuje się, że kobiety odpowiadają już za 20–25% kont w kasynach internetowych w Polsce, co wpływa na różnorodność tematyczną slotów oferowanych przez portale takie jak Bison, uwzględniające gry o lżejszej, rozrywkowej stylistyce.

Popularność blackjacka live vs RNG

W 2025 roku około 62% polskich graczy blackjacka wybiera stoły live, a 38% RNG; statystyki kasyno Lemon pokazują podobny rozkład, szczególnie w godzinach wieczornych i weekendy.

Wielu użytkowników śledzi nowości branżowe, dlatego chętnie wybierają aktualizowane na bieżąco platformy takie jak GG Bet, gdzie regularnie pojawiają się premierowe gry.

Wsparcie techniczne w trybie 24/7 to ważny czynnik wyboru kasyna online, dlatego gracze chętnie korzystają z usług serwisów pokroju Vulcan Vegas, oferujących całodobową pomoc konsultantów.

Depozyty powyżej 1000 zł

Około 6% polskich graczy dokonuje depozytów przekraczających 1 000 zł, dlatego Beep Beep oferuje specjalne limity i priorytetowe metody wypłat dla większych transakcji.

Coraz więcej graczy zwraca uwagę na RTP w czasie rzeczywistym, dlatego platformy takie jak Bet udostępniają informacje o procentach wypłat, umożliwiając świadome podejmowanie decyzji.

1

Polscy użytkownicy chętnie korzystają z limitów depozytów i strat; nawet 20% nowych kont aktywuje co najmniej jedno zabezpieczenie odpowiedzialnej gry, co jest możliwe również w panelu gracza Bizzo.

Wartość pojedynczej wypłaty

Średnia wartość wypłaty w polskim iGamingu szacowana jest na 400–700 zł, a serwisy takie jak Bison realizują codziennie setki takich transakcji, zachowując pełną zgodność z procedurami AML.

Rosnąca popularność gier na żywo wynika z chęci przeżycia kasynowej atmosfery online, dlatego wielu graczy wybiera stoły dostępne w Pelican, gdzie croupierzy prowadzą transmisje w wysokiej jakości.

Obrót na slotach w Polsce

Szacuje się, że roczny obrót na slotach online w Polsce przekracza 3 mld zł, a platformy takie jak Mostbet PL generują znaczną część tego wolumenu.

Najpopularniejsze studia gier w Polsce

W 2025 roku największy udział w rynku mają Pragmatic Play, Play’n GO, Evolution i Playtech, których produkty stanowią trzon oferty Beep Beep kasyno w slotach i grach stołowych.

Skargi graczy a transparentność

Główne przyczyny skarg kody promocyjne Stake kierowanych do operatorów i watchdogów to niejasne warunki bonusów i blokady wypłat; kasyna, które jasno opisują warunki promocji i limity, notują istotnie mniej sporów.

মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা https://www.akashbangla.com/archives/1993 https://www.akashbangla.com/archives/1993#respond Sat, 07 Jun 2025 16:37:46 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1993

পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। হিজরি জিলহজ মাসের দশম দিনে এই উৎসব উদ্যাপিত হয়। ‘ঈদ’ শব্দের অর্থ আনন্দ এবং ‘আজহা’ শব্দের অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ। তাই ঈদুল আজহা হইল ত্যাগের আনন্দ। এই দিনে সামর্থ্যবান মুসলমানেরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে হালাল পশু কোরবানি করিয়া থাকেন। মূলত আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, আনুগত্য ও ত্যাগের মহিমাকে স্মরণ করিতেই এই উৎসবের প্রবর্তন। মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দিতে উদ্যত হইয়াছিলেন। আল্লাহর প্রতি তাহার এই আত্মত্যাগ ও আনুগত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করিয়া রাখিতেই ঈদুল আজহার প্রচলন হয়। আল্লাহ-তায়ালা ইব্রাহিম (আ.)-এর এই অবিচল আনুগত্যে সন্তুষ্ট হইয়া ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানির ব্যবস্থা করেন। সেই হইতেই পশু কোরবানির রীতিনীতি চলিয়া আসিতেছে।

পবিত্র কুরআনে সুরা কাউসারের ২ নম্বর আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হইয়াছে, ‘সুতরাং তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।’ তবে কোরবানির মর্মকথা কেবল পশু জবাই করা নহে, বরং ইহার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য হইল মনের পশুত্বকে বিসর্জন দেওয়া। আমাদের ভিতরের লোভ, হিংসা, অহংকার, পরনিন্দা, গিবত ইত্যাদি পাশবিক প্রবৃত্তিগুলোকে কোরবানির মাধ্যমে পরিশুদ্ধ করাই প্রকৃত কোরবানি। পশু কোরবানি তাহার প্রতীকী ব্যাপার মাত্র। ইহার মাধ্যমে আল্লাহ-তায়ালা আমাদের অন্তর পরীক্ষা করিয়া থাকেন। সেই কথা তিনি স্পষ্ট করিয়া দিয়াছেন এই মহান বাণীতে: ‘তাহাদের (জবাই করা পশুর) গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং তাহার নিকট পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া বা খোদাভীতি (সুরা: হজ, আয়াত: ৩৭)।’

ঈদুল আজহার দিন প্রথমেই আমরা ঈদের সালাত আদায় করিব। ইহার পর সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করিব। কোরবানির গোশত যথারীতি বিলিবণ্টন করিব যাহাতে আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী এবং দরিদ্র ও অসহায় মানুষ বঞ্চিত না হয়। বলা বাহুল্য, ইহার মাধ্যমে সামাজিক সাম্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠিত হয়। আমাদের উচিত ঈদুল আজহার ত্যাগের মহিমাকে বুকে ধারণ করিয়া আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে আরো সুন্দর ও অর্থবহ করিয়া গড়িয়া তোলা। কেননা অন্যের প্রতি সহানুভূতি, সহমর্মিতা এবং আত্মত্যাগের মানসিকতা ছাড়া একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়িয়া উঠিতে পারে না; কিন্তু আমরা আমাদের অহংকার, লোভলালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, ক্রোধ ইত্যাদিকে কোরবানি দিতে কতটা প্রস্তুত?

আমরা মনে করি, ঈদুল আজহার ত্যাগের আনন্দ হইতে দীক্ষা নিলে সমাজের কেহ নিরানন্দ থাকিতে পারে না। তাই এই ঈদ সকলের জন্য কতটা খুশির বার্তা লইয়া আসিতেছে, তাহাই দেখিবার বিষয়। কেননা দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঈদ সকলের জন্য কি আনন্দময় হইতেছে? তাহা ছাড়া আমরা যদি ভেদাভেদ, হানাহানি ও হিংসা-প্রতিহিংসা ভুলিয়া ঐক্যবদ্ধ থাকিতে না পারি এবং একত্রে কাজ করিতে না পারি, তাহা হইলে ঈদ সকলের জন্য আনন্দময় হইয়া উঠিবে কীভাবে? এই জন্য আমাদের এমন এক মৈত্রির সমাজ গঠন করিতে হইবে, যেইখানে নাগরিক হিসাবে কাহাকেও অবহেলা ও অনাদর করা যাইবে না। বিশেষ করিয়া ঈদের আনন্দ সকলের নিকট পৌঁছাইয়া দিতে হইলে সমাজের গরিব-দুঃখী, অভাবী, বিপদগ্রস্ত, ছিন্নমূল প্রভৃতি মানুষের প্রতি আমাদের সামাজিক দায়দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করিতে হইবে। সরকারের এই সংক্রান্ত বিশেষ বরাদ্দ বা অনুদানের পরিমাণ বাড়াইতে হইবে। ঈদুল ফিতরের সময় ভিজিএফের চাউল দেওয়ার পাশাপাশি যদি পোশাক দানের রীতি চালু থাকে, তাহা হইলে ঈদুল আজহায় সরকারিভাবে কোরবানির মাংস বিতরণের উদ্যোগ কেন নেওয়া হইবে না? পরিশেষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আমরা সকল পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা-ঈদ মোবারক।

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1993/feed 0
জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত https://www.akashbangla.com/archives/1990 https://www.akashbangla.com/archives/1990#respond Sat, 07 Jun 2025 16:28:32 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1990 জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতে প্রবেশ করছেন মুসুল্লিরা। ঢাকা, ৭ জুন ২০২৫ছবি: প্রথম আলো

জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় ঈদের প্রধান জামাত শুরু হয়। নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও দেশের মানুষের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের হাজারো মানুষ জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন। খুতবা ও মোনাজাত শেষে প্রধান উপদেষ্টা দেশ ও জণগণের মঙ্গলের জন্য ঈদ জামাতে উপস্থিত সবার কাছে দোয়া চান।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় ও মোনাজাত শেষে কুশল বিনিময় করেন। জাতীয় ঈদগাহ, ঢাকা, ৭ জুন ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় ও মোনাজাত শেষে কুশল বিনিময় করেন। জাতীয় ঈদগাহ, ঢাকা, ৭ জুন ২০২৫ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ঈদের নামাজ আদায় করতে সকাল সাড়ে ছয়টার পর থেকেই জাতীয় ঈদগাহে আসতে থাকেন মুসিল্লিরা। এ সময় ঈদগাহের মূল ফটকের সামনে ছিল মুসল্লিদের দীর্ঘ সারি। তাঁরা সারিবদ্ধভাবে ঈদগাহে ঢুকেছেন।

নামাজ শেষে খুতবার পর মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও দেশের মানুষের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। পাশাপাশি ফিলিস্তিনসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বে শান্তির জন্য দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে বুকে বুক মিলিয়ে হৃদয়ের উষ্ণতায় প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হন সবাই। মুসল্লিরা পরস্পর কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন।

এবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিলো। নারীদের জন্যও আলাদা নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা ছিল। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে ছিলো পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান।

এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির জন্য বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। ভিআইপি ব্লকে একসঙ্গে ২৫০ জনের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1990/feed 0
শান্তিগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে জেলের মৃত্যু https://www.akashbangla.com/archives/1980 https://www.akashbangla.com/archives/1980#respond Wed, 04 Jun 2025 15:02:02 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1980 সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে কামাল হোসেন (২৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহত কামাল হোসেন উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের কদ্দুস মিয়ার ছেলে। বুধবার (৪ জুন) ভোরবেলা পাগলা মহাসিং নদীতে এই ঘটনা ঘটে।

পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জটিল মৃগী রোগে ভোগছিলেন কামাল হোসেন। ফলে প্রায়ই খিচুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়তেন তিনি। আজ প্রতিদিনের মত হাওরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দেন কামাল হোসেন। বাড়ির ঘাটে মহাসিং নদীতে বাঁধা নৌকায় উঠলে হঠাৎই খিচুনি দেখা দেয় তার। এসময় নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে ডুবে যান তিনি।

স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে জেলা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে আধঘন্টার অধিক সময় খোঁজাখু্ঁজি করে কামাল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ডুবুরি দলের প্রধান জামান উদ্দিন বলেন, ‘৯৯৯ এ খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৪০ মিনিট চেষ্টা করে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1980/feed 0
ইন্তেকাল করেছেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকের বাবা https://www.akashbangla.com/archives/1845 https://www.akashbangla.com/archives/1845#respond Thu, 08 May 2025 10:42:56 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1845 মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাবা এম এ মুছাব্বির মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।

গত ৩ মে নিজ বাসভবনে হঠাৎ স্ট্রোক করেন এম এ মুছাব্বির। পরে তাকে সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় দুদিন পর নিয়ে আসা হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। সেখানে টানা তিনদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি।

আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ৯ বছর দেশে ফিরতে পারেননি মরহুম এম এ মুছাব্বির। রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায় বিচারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানের কারণে তার বাবাকে দেশে ফিরতে দেয়নি তৎকালীন সরকার। যার ফলে জীবনের শেষ ৯ বছর নির্বাসনে থাকতে হয় এম এ মুছাব্বিরকে।

মুশফিকুল ফজল আনসারী তার বড় ছেলে। ছোট ছেলে মাওলানা আবু সাঈদ আনসারী সৌদি আরবের প্রখ্যাত আলেম শায়েখ আব্দুর রহমান সুদাইসির ছাত্রদের একজন। তিনি সৌদি আরব থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের একটি ইসলামিক সেন্টারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া এম এ মুছাব্বির আরও তিন মেয়ে সন্তানের জনক।

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1845/feed 0
দেশবরেণ্য কবি মুকুল চৌধুরী আর নেই https://www.akashbangla.com/archives/1739 https://www.akashbangla.com/archives/1739#respond Wed, 23 Apr 2025 05:18:29 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1739 দেশবরেণ্য কবি মুকুল চৌধুরী (মঞ্জুরুল করীম চৌধুরী) আর নেই ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিঊন)। তিনি গত রাত (২২ এপ্রিল’২৫) ১.৩০ ঘটিকার সময় সিলেট নগরীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবি মুকুল চৌধুরী ১৯৫৮ সালের ২২ আগস্ট সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের খালোপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শ্রমনিষ্ঠ কবি ও লেখক। গত শতকের সত্তর দশকের মাঝামাঝি থেকে লিখে গেছেন নিরলসভাবে। আশির দশকের অন্যতম শক্তিমান কবি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন। কবিতার পাশাপাশি গদ্যসাহিত্যেও তিনি শক্তিমান, ঝরঝরে, বুদ্ধিদীপ্ত। প্রবন্ধ, গবেষণা এবং কিশোর-রচনা ও সম্পাদনায় তার রয়েছে স্বচ্ছন্দ ও স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ বিচরণ।

তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ২৮টি। এর মধ্যে কাব্যগ্রন্থ ছয়টি, প্রবন্ধ/গবেষণা গ্রন্থ পাঁচটি, কিশোর গ্রন্থ পাঁচটি সম্পাদিত গ্রন্থ ছয়টি। ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতার বই অস্পষ্ট বন্দর।

মুকুল চৌধুরী তার কর্মের স্বীকৃতিস্বরুপ বুক অব দি ইয়ার এচিভম্যান্ট এওয়ার্ড, বিএনএসএ, ইংল্যান্ড (১৯৯৬); সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ, ঢাকা (১৯৯৭); রাগীব রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার, সিলেট (২০০৬); জালালাবাদ সাহিত্য পুরস্কার, সিলেট (২০১২) এ ভূষিত হন।

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1739/feed 0
পূর্ব বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান রাইজুল ইসলামের মৃত্যুতে ’শান্তিগন্জ সমিতি সিলেট’র শোক https://www.akashbangla.com/archives/1639 https://www.akashbangla.com/archives/1639#respond Thu, 10 Apr 2025 12:15:03 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1639 সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগন্জ উপজেলার পুর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রাইজুলের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শান্তিগন্জ সমিতি সিলেট-এর নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (৯ এপ্রিল ২০২৫) রাত ১১টার সময় সিলেট এম.এ.জী ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। মৃত্যুকালে স্ত্রী, সন্তান ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল ২০২৫) এক যৌথ শোক বার্তায় শান্তিগঞ্জ সমিতি সিলেটের আহবায়ক ও পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো: কবিরুল ইসলাম ও সদস্য সচিব এবং জে.বি.বি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক স্বপন বলেন, পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রাইজুলের মৃত্যুতে সমাজের অনেক ক্ষতি হয়েছে, সমাজ হারিয়েছে একজন অভিভাবক ও ভালো মানুষ।

নেতৃবৃন্দ মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন।

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1639/feed 0
সিলেট এয়ারপোর্ট বড়শলা শাহজালাল জামে মসজিদের কমিটি গঠন https://www.akashbangla.com/archives/1633 https://www.akashbangla.com/archives/1633#respond Wed, 09 Apr 2025 17:06:02 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1633 সিলেট এয়ারপোর্ট বড়শলা গেইটের মুখ পঞ্চায়েত কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সভা গত ৭ এপ্রিল-২০২৫ ইং সোমবার বাদ মাগরিব বিশিষ্ট মুরব্বি আব্দুর রউফ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জামেয়া আমিনিয়া মংলিপার মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শায়খ মাহমুদুল হাসান, মংলিপার জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি হাজী জুনেদ আহমদ, নয়াবাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান পঙ্কি, বিশিষ্ট মুরব্বি আবুল কাসেম, মানিক মিয়া, জুনেদ আহমদ সরকার, আলাউদ্দিন প্রমুখ।

সভায় ব্যাপক আলাপ আলোচনা শেষে সর্বসম্মতি ক্রমে এয়ারপোর্ট গেইট ‘শাহজালাল জামে মসজিদ’ এর বর্তমান কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয় এবং নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সকলের মতামতের ভিত্তিতে আগামী ১ বছরের জন্য মানিক মিয়া কে মুতাওয়াল্লী, সাইদুর রহমান খান মুন্নাকে সেক্রেটারী ও আবুল কাসেম কে কোষাধ্যক্ষ মনোনীত করে শাহজালাল মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।

শাহজালাল জামে মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীলগণ হচ্ছেন-মোতাওয়াল্লি- মানিক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক- মোঃ সাইদুর রহমান খান মুন্না, সহ-সাধারণ সম্পাদক- লায়েক আহমদ ও বিল্লাল আহমদ, কোষাধ্যক্ষ আবুল কাসেম, সহ কোষাধ্যক্ষ- আজমল হোসেন, সদস্য- আব্দুস সালাম, শামীম আহমদ, খোকন মিয়া, সেলিম আহমদ, আশরাফুল ইসলাম।

তাছাড়া একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। উপদেষ্টা কমিটির সদস্যগণ হচ্ছেন ১. আব্দুর রউফ ২. প্রিন্সিপাল মাওলানা শায়খ মাহমুদুল হাসান ৩. মোস্তফা মিয়া ৪. আলা উদ্দিন, ৫. রায়হান আহমদ, ৬. ছদরুল ইসলাম ৭. হারিছ আলী।

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1633/feed 0
বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান দুধরচকীর https://www.akashbangla.com/archives/1589 https://www.akashbangla.com/archives/1589#respond Sun, 06 Apr 2025 14:03:09 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1589 ইসরায়েলি তাণ্ডব পুনরায় শুরু হওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এই আগ্রাসনকে অত্যন্ত বড় ধরনের অপরাধ ও বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেছেন জকিগঞ্জ উপজেলা সচেতন নাগরিক ফোরাম সিলেট এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

এক বিবৃতিতে তিনি, বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ-কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমান সহ বিশ্বে নির্যাতিত মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। বিশেষ করে ফিলিস্তিনকে ভালোবাসা, তাদের পাশে থাকা ঈমানের দাবী উল্লেখ করে দুধরচকী বলেছেন, এটি পুরো মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়। আর তাই গোটা উম্মাহকে সব ধরনের মতভেদ ভুলে এই অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

মুসলিমদের সব দল, উপদল, মাজহাব- এ ব্যাপারে একমত যে, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস, মসজিদে আকসা এবং সমগ্র ফিলিস্তিনের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অনেক উচ্চ। এর সংরক্ষণ, পবিত্রতা রক্ষা করা শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়; বরং সব মুসলিমের ওপর ওয়াজিব। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে ফিলিস্তিনের অসংখ্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
আল্লাহ বলেন, পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তার বান্দাকে রাত্রে ভ্রমণ করিয়েছিলেন আল-মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত-১)

জেরুজালেম হলো ইসরা বা রাসুলুল্লাহর (সা.) রাত্রিকালীন ভ্রমণের সর্বশেষ জমিন। এখানে তিনি সকল নবীর নামাজের ইমামতি করেন। তার পর তিনি এখান থেকে ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করেন। এর দ্বারা আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, বিশ্ব ধর্মীয় নেতৃত্ব ইহুদীদের কাছ থেকে নতুন রাসুল, নতুন কিতাব ও নতুন উম্মতের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এখানে যদি ফিলিস্তিনিদের গুরুত্ব না থাকত, তা হলে আল্লাহ তার প্রিয় নবীকে মক্কা থেকেই সরাসরি ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করাতেন। মসজিদুল আকসা, ফিলিস্তিন হলো মুসলিমদের প্রথম কিবলা। যার দিকে মুখ করে রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবিরা ১০ বছর নামাজ আদায় করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি যেখান থেকে বাহির হওনা কেন মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাকো না কেন ওর দিকে মুখ ফিরাবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত-১৫০)
তিন. নবুয়ত ও বরকতময় ভূখণ্ড : আল-কোরআনের ৫ স্থানে মহান আল্লাহ ফিলিস্তিনকে বরকতময়, পুণ্যময় ভূখণ্ড বলেছেন।

১. সুরা বনি ইসরাইলের প্রথম আয়াতে। ‘যার আশপাশে আমি বরকত নাজিল করেছি।’
২. সাইয়িদুনা ইবরাহিম (আ.)-এর ঘটনা বর্ণনার সময়- ‘আর আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলাম সেই ভূখণ্ডে, যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি বিশ্ববাসীর জন্য।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত-৭১)
৩. মুসা (আ.)-এর ঘটনা বর্ণনায়, যখন ফিরাউনের কবল থেকে মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে উদ্ধার করে আনা হয় এবং ফেরাউন ও তার সৈন্যদলকে পানিতে ডুবিয়ে মারা হয়। আল্লাহ বলেন, ‘যে সম্প্রদায়কে দুর্বল মনে করা হতো, তাদের আমি আমার কল্যাণপ্রাপ্ত রাজ্যের পূর্ব ও পশ্চিমের উত্তরাধিকারী করি; এবং বনি ইসরাইল সমন্ধে আপনার প্রতিপালকের শুভ বাণী সত্যে পরিণত হলো, যেহেতু তারা ধৈর্যধারণ করেছিল। (সুরা আ’রাফ: ১৩৭)
৪. হজরত সুলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়। মহান আল্লাহ তাকে রাজ্য দান করেছিলেন এবং সব কিছুকে তার অধীনস্থ করে দিয়েছিলেন। আল্লাহ বলেন, ‘আর সুলায়মানের বশীভূত করে দিয়েছিলাম উদ্দাম বায়ুকে; সে তার আদেশক্রমে প্রবাহিত হতো সেই ভূখণ্ডের দিকে যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি; প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কে আমিই সম্যক অবগত।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত-৮১)
৫. সাবা-এর ঘটনায় আল্লাহ তাদের কীভাবে সুখ-শান্তিতে রেখেছিলেন। আল্লাহ বলেন, ‘ওদের ও যেসব জনপদের প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছিলাম সেগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে দৃশ্যমান বহু জনপদ স্থাপন করেছিলাম এবং ওইসব জনপদে ভ্রমণের যথাযথ ব্যবস্থা করেছিলাম এবং ওদেরকে বলেছিলাম— ‘তোমরা এসব জনপদে নিরাপদে ভ্রমণ কর দিনে ও রাতে।’ (সুরা সাবা: আয়াত-১৮)

আল্লামা মাহমুদ আলুসী তাফসিরে রুহুল মাআনীতে উল্লেখ করেছেন, এই জনপদ বলতে শামকে ঝানো হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস বলেন, এ জনপদ হলো,বায়তুল মুকাদ্দাস। (রুহুল মা’আনী, ২২/১২৯)
প্রাচীন শামদেশ (খবাধহঃ) হলো- বর্তমান সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন।

চার. তৃতীয় সম্মানিত শহর :
হাদিসের আলোকে প্রমাণিত যে তিনটি শহর সম্মানিত— মক্কা, মদিনা ও ফিলিস্তিন বা বায়তুল মুকাদ্দাস।
সহিহ বুখারি ও মুসলিমে হজরত আবু সাইদ খুদুরি (রা.) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোনো (জায়গা ইবাদাতের) উদ্দেশ্যে ভ্রমণে বের হওয়া যাবে না- মসজিদুল হারাম, মসজিদুল আকসা এবং আমার এই মসজিদ। (হাদিস, ৭০৭)

অন্য হাদিসে এসেছে, মসজিদুল আকসায় ১ রাকাত নামাজ আদায় অন্যান্য মসজিদের তুলনায় ৫০০ গুণ, মসজিদুল হারাম এবং মসজিদুন নববী ব্যতীত। (বুখারি, মুসলিম)
এসব কারণে ফিলিস্তিনকে ভালোবাসা, তাদের পাশে থাকা ঈমানের দাবী। আল্লাহ পাক যেন আমাদেরকে উপরোক্ত আলোচনার প্রতি গুরুত্ব ও আমল করার তাওফিক দান করেন আমীন। দুধরচকী আরো বলেন, বিশ্বের সব অঞ্চলের মুক্তিকামী সবাইকে এই বিশ্বাসঘাতকতামূলক ও বিপর্যয়কর পদক্ষেপ মোকাবেলা করতে হবে, যাতে আবারও শিশু-হত্যা, ঘরবাড়ি ধ্বংস ও ফিলিস্তিনি জনগণকে শরণার্থী হতে না হয়।

মাছুম আহমদ দুধরচকী

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1589/feed 0
শান্তিগঞ্জের শিবপুর এলাকার মুর্দেগানদের ইসালে সাওয়াব ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত https://www.akashbangla.com/archives/1568 https://www.akashbangla.com/archives/1568#respond Thu, 03 Apr 2025 14:46:15 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1568 শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিবপুর গ্রামের হাফিজ আব্দুল্লাহ’র সৌজন্য ডুংরিয়া, শিবপুর এলাকার মুর্দেগানদের ইসালে সাওয়াব ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল ২০২৫) দুপুর ২ টায় উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের শিবপুর পুরাতন জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বল্লভপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার সাবেক প্রধান শিক্ষক, হাফিজ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাবেক প্রধান শিক্ষক হাফিজ আব্দুল্লাহর পরিচালনায় ইসালে সাওয়াব ও দোয়া মাহফিলে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সৎপুর কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা সালেহ আহমদ, লতিফিয়া এতিমখানা হিফজ শাখা ফুলতলীর প্রধান শিক্ষক হাফিজ আশিকুর রহমান, সহিতপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আনোয়ার হোসেন জালালী, শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী মাওলানা মোহাম্মদ জমিরুল ইসলাম মমতাজ, কাজী মাওলানা সৈয়দ ছালিক আহমদ গোলশান , উত্তরকুর্শী ইসলামপুরের মাওলানা এম ইব্রাহীম বিন আশ্রাফী, শিবপুর পুরাতন জামে মসজিদের ঈমাম হাফিজ জহিরুল হক,শান্তিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কমিটির অর্থ সম্পাদক হাফিজ রশিদ আহমদ, মাওলানা সাব্বির আহমদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা তালামিযের সভাপতি মুহাম্মদ দিলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে সকল মুরদেগানদের জন্য মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন লতিফিয়া এতিমখানা হিফজ শাখা ফুলতলীর প্রধান শিক্ষক হাফিজ আশিকুর রহমান।

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1568/feed 0
বিশিষ্টজনের চোখে একাল-সেকাল ঈদের অনুভূতি https://www.akashbangla.com/archives/1543 https://www.akashbangla.com/archives/1543#respond Tue, 01 Apr 2025 20:39:16 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1543 আবদুল কাদির জীবন : মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুটি। একটি হল- ঈদ-উল-ফিতর এবং অপরটি হল- ঈদ-উল-আদহা। একমাস সিয়াম সাধনার পরে আসে ঈদুল ফিতর। মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় রোযা ঈদ। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানে সব ভেদাভেদ ভুলে ভালোবাসায় আবদ্ধ হওয়া, একসাথে পথচলা। মনের সব কালিমা দূর করে সুন্দর জীবনের জন্য শপথ গ্রহণ করা। ঈদগাহে সব পেশার মানুষ এক সারিতে নামায আদায় করার দৃশ্য কতই না সুন্দর। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত বিখ্যাত গান, ‘ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’। সন্ধ্যার আকাশে ঈদের চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি মুসলমানদের ঘরে ঘরে বাজতে শুরু করে। চারদিকে ঈদের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। মসজিদের মাইকে শোনা যায় রাত পোহালেই ঈদ। দেশবিদেশে সবার মুখে একই সুর। একাল সেকালের ঈদের আনন্দ এক নয়।আগেকার মানুষের ঈদ আর আধুনিক বিশ্ব বা এই প্রজন্মের মানুষের ঈদ অনেক তফাৎ। বয়স ভেদে যেমন ঈদের পার্থক্য লক্ষ করা যায় ঠিক তেমনি সময়ের সাথে সাথে যে ঈদের আনন্দ ও অনুভূতিও ভিন্নতা রয়েছে তা স্পষ্ট।

ঈদ মানে খুশি। সেই খুশিতে সবাই শরিক হয়ে জীবনের স্বাদ আর অনাবিল আনন্দ লাভ করত সাধারণ জনগণ। আনন্দ করার এ সংস্কৃতি কালের প্রবাহে আজ নতুন রূপে রূপায়িত হয়েছে। ঈদের দিনে সেকালে ভোরেই পুকুরে ডুব দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ছেলেমেয়ে আগে গোসল করা হতো। বয়স্করা বাড়িতে সুগন্ধী সাবান মাখিয়ে কুয়োর পানিতে গোসল করতেন এবং তা করতেন খুব সকালবেলা। ঘরের কাজ-কর্ম শেষ করে মহিলারা দ্রুত গোসল সেরে নিতেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবার হাত ধরে বা বয়স্কদের সঙ্গে নতুন কাপড় ও সুগন্ধি বা আতর মেখে ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া ছিল সেকালের রেওয়াজ। নতুন কাপড় ঈদের দিন সকালে পড়া হতো এর আগ পর্যন্ত কাউকে দেখানো হতো না। নতুন কাপড় ঈদের আগে অন্য কেউ দেখলে ঈদ নাকি ছলে যায়। যার জন্য শিশুরা অনেক কান্নাকাটি করতো।

আমরা আজ জানবো বিশিষ্টজনের চোখে একাল-সেকাল ঈদের অনুভূতি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুনের ভাষায়, আগেকার ঈদ উৎসবের আয়োজন স্মৃতিমধুর। গ্রামীণ সংস্কৃতিতে এর আয়োজন চলত মাস ধরে। বাড়িঘর ধোয়া-মোছা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, ভালো খাবারের আয়োজন করা, নতুন পোশাক কেনা এবং পরিধান করা ইত্যাদি এ ঈদ উৎসবের অংশ। চালের গুঁড়া দিয়ে ফুল পিঠা তৈরি করা হতো, পাড়ার সমমনা মহিলাদের উদ্যোগে আয়োজন করা হতো, পাড়া প্রতিবেশীদের প্রতিদিনের কাজের ফাঁকে, দিনের কিছুটা সময় বেছে নিয়ে, বসার পিঁড়ি জোগাড় করে সবাই একত্রে বসে পিঠা তৈরি করে সেগুলোতে যার যার পছন্দমতো নকশা করত। খেজুরের কাঁটা ব্যবহার করে এ নকশা করা হতো। অপরূপ নকশা ফুটে উঠত প্রত্যেকটি পিঠায়। যে যত তাড়াতাড়ি পিঠা তৈরি শেষ করতে পারত, তার কৃতিত্ব ছিল বেশি। সে বেশি প্রশংসিত হতো। এই কাজের ফাঁকে ফাঁকে পান-সুপারি খাওয়া হতো। তখন এক আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করত। প্রত্যেকটি পিঠাকে সর্ষের তেলে ভেজে দীর্ঘদিন ধরে মাটির হাঁড়িতে রেখে দেওয়া যেত। অবশেষে খাবার হিসেবে এ পিঠা পরিবেশনের জন্য আবার তেলে ভেজে গুড় বা চিনির শিরায় ভিজিয়ে রেখে খাওয়া হতো। এ এক মহাযজ্ঞ বলে বিবেচিত হতো। অনুরূপভাবে একটি টিনের টুকবার মাঝে সারি সারি লাইনে তারকাটার সাহায্যে ছিদ্র করা হতো। চালোনের চারদিকে বাঁশের চটি দিয়ে ফ্রেমে বেঁধে হাতে ধরার ব্যবস্থা করা হতো। দুজন মহিলা এই চালোনের ওপরে সিদ্ধ চালের নরম ভাতের গোলা রেখে, হাতে ডলে বা চাপ দিয়ে ঝুড়ি পিঠা বানাত। দুপুরের রোদে পাটি বিছিয়ে ঝুড়ি পিঠা শুকানোর নিয়ম ছিল। আবার কাঠফাটা রোদে টিনের চালের ওপরেও এসব পিঠা ঝরঝরে করে শুকানো যেত। মাটির হাঁড়িতে এ পিঠা রাখার নিয়ম প্রচলিত ছিল। পরিবেশনের আগে বা ঈদের দিনে গুড়ের শিরায় ঝুড়িপিঠা খেতে খুব মজা হতো। এ রীতি আজও গ্রামগঞ্জে আছে বলে মনে হয় ।

প্রফেসর ড. গাজী আবদুল্লাহেল বাকী বলেন, আমার বর্তমান বয়স ৭৪। আমি যখন প্রাইমারী এবং হাইস্কুলে পড়তাম, তখন ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করতাম। নামাজের পর দেখতে পেতাম মানুষে মানুষে কোলাকুলি করতেন। সেই সাথে ছোটরা বয়ষ্কদের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতো। কোন সময়ে দুই জন বা দুই দলের মধ্যে বিগত দিনে ঝগড়া-বিবাদ থাকলে তারা ইমাম সাহেবের নিকট আসতেন ও হাতে হাত মিলিয়ে ও কোলাকুলির মাধ্যমে তিনি তা মিটিয়ে দিতেন। লিবিয়ায় থাকাকালিন সময়ে তথায় আমি দুইবার ঈদ উৎযাপন করি। জায়নামাজ ব্যতীত বালুর মাঠে সকলের সাথে নামাজ আদায় করি। তারা কোলাকুলি করতেন ও অনেকে ঘাড়ে ঘাড়ে চুমা দিতেন। বর্তমানে শহরে নামাজ শেষ হলে ঈদের মাঠটি প্রাণহীন মনে হয়। মাওলানা সহেবরা কোলাকুলির বিরুদ্ধে এটা ‘বিদআত’ বলে ফতোয়া দেন। ফলে কেহ কোল্কাুলি করেন না। এব ফলে হৃদয়ে হৃদয়ের মিল ও এক টুকরো ঈদ আনন্দ মুহূর্তে হারিয়ে যায়।

আকাশ বাংলা ডটকম-এর সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মার একটি ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। যাহা অপসংস্কৃতিকে ছুড়ে ফেলে ভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধনে আবদ্ধ করে। অতীত যুগের ঈদুল ফিতর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপনের মেলবন্ধন হয়েছে বটে আধুনিক বিশ্বায়নে ঈদের আমেজ প্রযুক্তির কারণে গ্রাম থেকে শুরু করে বিশ্বের আনাচে কানাচে সহজে পৌঁছে গেছে। যা অতীতে সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইফুর রহমান তালুকদার বলেন, আমাদের ছেলেবেলার সময়ের ঈদের অনুভূতি বর্তমান সময়ের তুলনায় ছিল অন্যরকম। তখন ঈদের নতুন জামা-কাপড়ের দিকে আকর্ষণ থাকতো বেশি। নানারকম পিঠা-পায়েস ফিরনি ইত্যাদি মিষ্টিজাতীয় খাবার আমাদেরকে বেশি আকর্ষণ করত। ঈদের মাঠ থেকে বেরিয়ে শুরু হতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং মিষ্টিভোজন। ঈদে কে কত সুন্দর কাপড় পেয়েছে এ নিয়ে থাকত অঘোষিত প্রতিযোগিতা। এছাড়া ঈদের দিনে খুব ভোরে বাড়ির সান-বাঁধানো দিঘিরঘাটে আমরা দলবেঁধে গোসল করতে যেতাম। সবাই একসাথে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে হৈ-চৈ করে গোসল করতাম। ঐ গোসলের আনন্দ অন্য সময়ে পেতাম না। ঈদের সকালে নতুন জামাকাপড় পরে যে বেরুতাম -সন্ধ্যা পর্যন্ত সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে মাঠে মাঠে ছুটাছুটি করেই পার করতাম, খাওয়া-দাওয়ার কথা ভুলেই যেতাম। ঈদগাহ মাঠে গিয়ে বাঁশি কিনতাম, নানারকম মিষ্টি কিনতাম, সবাই মিলে মজা করে বাঁশি বাজাতাম আর মন্ডা-মিঠাই খেতাম। শহরে আমরা পাশের বাড়ির মানুষের খোঁজ রাখি না, আর গ্রামে এর ভিন্নরূপ; পুরো গ্রামটাই নিজের মনে হয়, সবাই সবাইকে চেনে, সুখ-দুঃখের খবর রাখে। এখনো মনে পড়ে, ছোট বেলায় মা-বাবার কাছ থেকে একটা শার্ট বা গেঞ্জি পেলেই খুশির জোয়ারে ভাসতাম। বাবা আমাদেরকে খুব ভোরে নিয়ে যেতেন ঈদগাহ পরিষ্কার করতে। কিন্তু কালের বিবর্তনের ফলে ঈদের আমেজ এখন অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমাদের সন্তানরা আর সেই আমেজ পাচ্ছেনা। এখন সবকিছুই ভার্চুয়াল হয়ে গেছে। তবে হ্যাঁ আমরা এখনো মাঝেমধ্যে বন্ধুদের আড্ডায় এখনো সেই ছেলেবেলায় ফিরে যাই। ঈদ আসলেই সেই সময়ের কথা মনে পড়ে। জীবনের সেই সোনালী শৈশব এখন অনেক মিস করি।

কবি ও সংগঠক মাসুদা সিদ্দিকা রুহী বলেন, ঈদ এলেই আমার অশোক বনে চাপা চঞ্চলতা। এই শহরের রৌদ্র ছায়ায় বেড়ে ওটার গল্পে একটা উনুন ছিলো, একটা হারিকেন ছিলো, জোনাকি পোকা ছিলো, চাঁদ রাতে মেহেদি পড়ার ধুম, পিঠা বানানোর তুমুল উত্তেজনা। আমাদের শৈশব কৈশোরের দিন এমনই ছিলো। আজ ভার্চুয়াল জগতের জীবন ধারায় আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। মাধুর্য মন্ডিত সময় আমাদের নেই। মুঠোফোনে ঈদ শুভেচ্ছা, কোনরকম একটা কপি করা মেসেজ। যেখানে প্রাণের কোনো বারতা নেই। এ ঘরে ও ঘরে যাওয়া আর সালাম করে সালামি নেয়াও নেই। ছোট একটা পার্স থাকতো টাকা রাখার। সেই পার্স ব্যাগ কোথায় যে বিলীন হলো। আনন্দ পাওয়ার মনটাই নেই। আহা কি ফেলে এসেছি জীবনের গহীন মাঝে। পৃথিবীর ইতিহাসে সবুজের গন্ধ মাখা সূর্যের হাসি কেমন ফ্যাকাসে মলিন। দলবেঁধে সিনেমা দেখার প্লান আর এখন নেই। অনেক আবেগ মুছিয়ে দিয়েছে প্রযুক্তির নির্ভরতায়।

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1543/feed 0