সাহিত্য সংবাদ – Akash Bangla https://www.akashbangla.com Online Newsportal Sat, 21 Jun 2025 14:50:37 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.9

Popularność płatności BLIK

Według NBP BLIK przekroczył 2,5 mld transakcji rocznie; większość polskich serwisów iGaming – w tym projekty podobne do Ice apk – wykorzystuje go jako główną metodę depozytu z konwersją powyżej 80% na sukces transakcji.

Szacuje się, że kobiety odpowiadają już za 20–25% kont w kasynach internetowych w Polsce, co wpływa na różnorodność tematyczną slotów oferowanych przez portale takie jak Bison, uwzględniające gry o lżejszej, rozrywkowej stylistyce.

Popularność blackjacka live vs RNG

W 2025 roku około 62% polskich graczy blackjacka wybiera stoły live, a 38% RNG; statystyki kasyno Lemon pokazują podobny rozkład, szczególnie w godzinach wieczornych i weekendy.

Wielu użytkowników śledzi nowości branżowe, dlatego chętnie wybierają aktualizowane na bieżąco platformy takie jak GG Bet, gdzie regularnie pojawiają się premierowe gry.

Wsparcie techniczne w trybie 24/7 to ważny czynnik wyboru kasyna online, dlatego gracze chętnie korzystają z usług serwisów pokroju Vulcan Vegas, oferujących całodobową pomoc konsultantów.

Depozyty powyżej 1000 zł

Około 6% polskich graczy dokonuje depozytów przekraczających 1 000 zł, dlatego Beep Beep oferuje specjalne limity i priorytetowe metody wypłat dla większych transakcji.

Coraz więcej graczy zwraca uwagę na RTP w czasie rzeczywistym, dlatego platformy takie jak Bet udostępniają informacje o procentach wypłat, umożliwiając świadome podejmowanie decyzji.

1

Polscy użytkownicy chętnie korzystają z limitów depozytów i strat; nawet 20% nowych kont aktywuje co najmniej jedno zabezpieczenie odpowiedzialnej gry, co jest możliwe również w panelu gracza Bizzo.

Wartość pojedynczej wypłaty

Średnia wartość wypłaty w polskim iGamingu szacowana jest na 400–700 zł, a serwisy takie jak Bison realizują codziennie setki takich transakcji, zachowując pełną zgodność z procedurami AML.

Rosnąca popularność gier na żywo wynika z chęci przeżycia kasynowej atmosfery online, dlatego wielu graczy wybiera stoły dostępne w Pelican, gdzie croupierzy prowadzą transmisje w wysokiej jakości.

Obrót na slotach w Polsce

Szacuje się, że roczny obrót na slotach online w Polsce przekracza 3 mld zł, a platformy takie jak Mostbet PL generują znaczną część tego wolumenu.

Najpopularniejsze studia gier w Polsce

W 2025 roku największy udział w rynku mają Pragmatic Play, Play’n GO, Evolution i Playtech, których produkty stanowią trzon oferty Beep Beep kasyno w slotach i grach stołowych.

Skargi graczy a transparentność

Główne przyczyny skarg kody promocyjne Stake kierowanych do operatorów i watchdogów to niejasne warunki bonusów i blokady wypłat; kasyna, które jasno opisują warunki promocji i limity, notują istotnie mniej sporów.

সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের বিশেষ সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত https://www.akashbangla.com/archives/2059 https://www.akashbangla.com/archives/2059#respond Sat, 21 Jun 2025 14:50:37 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=2059
সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের বিশেষ সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের বিশেষ সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর মারুফ ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে শিক্ষাবিদ ড. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক নুরুল ইসলাম বুলবুল, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মো : দেলাওয়ার হোসেন।
সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি যাকিউল হক জাকী সম্প্রতি ইন্তেকাল করায় সম্মেলনে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয় বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী, নাট্য নির্মাতা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাহবুব মুকুল, অতপর এক্সিকিউটিভ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সেক্রেটারি হন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আল্লামা ইকবাল।
নির্বাচিত সভাপতি মাহবুব মুকুল ইতিপূর্বে সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের সেক্রেটারি, সহকারী সেক্রেটারি, নাট্য ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক, নাট্য জোনের সভাপতি, সমন্বয় সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক, বাংলাদেশ সংস্কৃতি কেন্দ্র, শিশু কিশোর ফাউন্ডেশন, দিগন্ত টেলিভিশনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে প্যানভিশন টেলিভিশনের সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন।
মনোনিত সেক্রেটারি আল্লামা ইকবাল কাজী নজরুল ইসলাম সংসদের সভাপতি, সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক, এসএসকের সহকারী সেক্রেটারি এবং প্রবাহ শিল্পী গোষ্ঠীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
সম্মেলনে মরহুম যাকিউল হক জাকী স্বরণে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা শাহিন হাসনাত, নাট্য প্রযোজক হুসনে মোবারক, ক্বারী বেলাল হোসাইন, আব্দুল হাই সেলিম প্রমূখ।
পবিত্র কোরআন থেকে আলোচনা করেন এ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন, সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী গাজী আনাস, মাহফুজ মামুন, ইকবাল হুসাইন, একে জিলানী, মুজাহিদ জামান, নুরুল হুদা, আমিনুল্লাহ, রেজাউল করিম সবুজ, কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী তারিক হাসিব, কবি ওয়াজকুরুনি সিদ্দিকী ।
এছাড়া দুটি ইসি সদস্য পদ শুন্য হওয়ায় সদস্যদের ভোটে আব্দুল্লাহ আল নোমান ও আব্দুর রউফ ইসি সদস্য নির্বাচিত হন।
প্রধান অতিথি নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন সত্য সুন্দর সুস্থ শুদ্ধ সাংস্কৃতিক বিপ্লবের জন্য যাকিউল হক জাকী যেভাবে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছিলেন, সেভাবে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভুমিকা পালনের মধ্য দিয়ে একটি আলোকিত সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সদস্যদের নৈতিক মান উন্নয়নে ইসলামের বিধিবিধান যথাযথ পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ব্যাপক জ্ঞান অর্জনের তাগিদ দেন।
দ্বিতীয় অধিবেশনের শেষে মরহুম যাকিউল হক জাকী’র জন্য দোয়া করা হয়।
]]>
https://www.akashbangla.com/archives/2059/feed 0
সাইক্লোন কেন্দ্রীয় সংসদের ৩০৯ তম সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত https://www.akashbangla.com/archives/1983 https://www.akashbangla.com/archives/1983#respond Wed, 04 Jun 2025 18:09:07 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1983
সিলেটের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নিজস্ব স্বকীয়তার একটি বড় উদাহরণ সিলেটি নাগরী লিপি। বাংলা ভাষায় বাংলা বর্ণমালার পাশাপাশি আরেকটি বর্ণমালা হচ্ছে সিলেটি নাগরী লিপি। আমাদের ঐতিহ্যঘন এই সম্পদকে সুরক্ষা, পঠন-পাঠনের এবং এ বর্ণে মুদ্রিত পুঁথি সাহিত্যের প্রসার ও উন্নয়নে সিলেটি নাগরী লিপির সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত। লিপিটির চর্চা ও গবেষণা হলে অনাবিষ্কৃত অনেক পুঁথি উদ্ধার সম্ভব; যার মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য নতুন করে বিনির্মাণ হবে।
সাইক্লোন কেন্দ্রীয় সংসদের ৩০৯ তম সাহিত্য আসরে সিলটি ল্যাংগুয়েজ ডট নেট-এর সহযোগিতায় ‘ছিলটি নাগরী চর্চা ও ভবিষৎ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী ডা. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম অচিনপুরী একথা বলেন।
মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে গতকাল সোমবার রাতে সাইক্লোনের সহ-সভাপতি ঔপন্যাসিক আলেয়া রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যের ছিলটি নাগরীপ্রেমী মোহাম্মদ মামুনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মৃল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাইক্লোন সভাপতি ভ্রমণকাহিনি লেখক মোয়াজ আফসার এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর সিলেট ব্যুরো চিফ সেলিম আউয়াল।
সাইক্লোনের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক তাসলিমা খানম বীথি’র সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গবেষক ও ব্যাংকার মোশতাক চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের জিডিএম জাবেদ আহমদ, কবি মুহিত চৌধুরী, সাইক্লোনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ইশরাক জাহান জেলী। অনুষ্ঠানে সিলেটি গান পরিবেশন করেন কবি ছয়ফুল আলম পারুল, গীতি কবি ওমর ফারুক, নাসরিন সুলতানা এবং লেখা পাঠ করেন কবি কামাল আহমদ, জুবের আহমদ সার্জন, ছড়াকার আব্দুস সামাদ। পুরো অনুষ্ঠানটি শিল্পী অচিনপুরী নিজের লেখা গান পরিবেশন করে মাতিয়ে তুলেন।
]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1983/feed 0
কেমুসাসের ১২৩৩তম সাহিত্য আসর https://www.akashbangla.com/archives/1936 https://www.akashbangla.com/archives/1936#respond Fri, 30 May 2025 04:55:57 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1936
নজরুলের কবিতা ও গান আমাদের মুক্তিযুদ্ধসহ
বিভিন্ন গণআন্দোলনে প্রেরণা জুগিয়েছে 
…আরিফুল হক চৌধুরী
নজরুলের সাহিত্য আমাদের শিখিয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে শোষিত-নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর কবিতা ও গান আমাদের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণআন্দোলনে প্রেরণা জুগিয়েছে। নজরুলের সাহিত্য আজও আমাদের সমাজে প্রাসঙ্গিক। তাঁর লেখার মাধ্যমে আমরা শিখি মানবতা, সাম্য ও স্বাধীনতার মূল্য।
ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ১২৩৩তম আসর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদের কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপরোক্ত কথা বলেন।
২৯ মে ২০২৫ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ কেমুসাসের সাহিত্য আসর কক্ষে সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে ও ছড়াকার আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় আসরে প্রধান আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহসভাপতি আফতাব চৌধুরী, আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কবি মুহিত চৌধুরী, কেমুসাসের কার্যকরী পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের, কবি ছয়ফুল আলম পারুল ও কবি মাহফুজ জোহা।
সাহিত্য আসরের শুরুতে মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মুহাম্মদ হুসাইন হামিদ। লেখাপাঠ করেন কেমুসাসের সহ পাঠাগার সম্পাদক কবি ইশরাক জাহান জেলী, তাসলিমা খানম বীথি, জুবের আহমদ সার্জন, কামাল আহমদ, মোহাম্মদ আল ওয়ালিদ প্রমুখ। গান পরিবেশন করেন ওমর ফারুক, কুবাদ বখত চৌধুরী, বাহাউদ্দিন বাহার ও লিলু মিয়া। সেরালেখক মনোনীত হন মুহাম্মদ হুসাইন হামিদ।
]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1936/feed 0
শহীদ জিয়া গ্রন্থমেলা সফলের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ https://www.akashbangla.com/archives/1875 https://www.akashbangla.com/archives/1875#respond Sat, 17 May 2025 19:21:20 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1875 সিলেটে ১১ দিনব্যাপী শহীদ জিয়া গ্রন্থমেলাকে সম্মিলিতভাবে সফল করতে হবে
—-কয়েস লোদী

সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিসিকের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেছেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি বীরত্বের সাথে রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেরা শাসকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তার শাসনামল ছিলো দেশের ইতিহাসের স্বর্নযুগ। শহীদ জিয়ার জীবন ও কর্ম জাতির সামনে তুলে ধরতে গ্রন্থমেলা আয়োজন নিঃসন্দেহে সেরা উদ্যোগ। আগামী ২০ মে থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১১দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য শহীদ জিয়া গ্রন্থমেলাকে সম্মিলিতভাবে সফল করতে হবে।

তিনি শনিবার (১৭ মে) বিকেলে নগরীর চৌকিদেখী এলাকায় কমল সাহিত্য পরিষদ সিলেট আয়োজিত শহীদ জিয়া গ্রন্থমেলা ২০২৫ সফলের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। এসময় তারেক রহমান উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।

কমল সাহিত্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি সাজন আহমদ সাজুর সভাপতিত্বে ও মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ময়নুল ইসলামের পরিচালনাঢ অনুষ্ঠিত লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেস, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল বাসিত তপু, মহানগর বিএনপি নেতা তুহিন নাগ, মুজিবুর রহমান মুজিব, ইকবাল হোসে, বিমানবন্দর থানা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সারোয়ার রেজা, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মামুন আহমদ মিন্টু, ময়নুল ইসলাম, লায়েক আহমদ, মহানগর যুবদলের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য লুৎফর রহমান, বিএনপি নেতা লোকমান আহমদ লিটন, সুলতান বক্স মনসুর, আসাদ বক্স, মিসবাহ আহমদ জেহিন,সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজ চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সাইদ মাহমুদ ওয়াদুদ, গুলজার আহমদ, শেখ আব্দুল মনাফ, যুক্তরাষ্ট্র মিশিগান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম তুহিন, শাওন আহমদ ইমরান,সৈয়দ মিনার আলী,নাজির আহমদ ৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক জাবেদ আহমদ, সোহেল আহমদ, ইফতি আহমদ সুমিম, মহানগর যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সায়িদ আহমদ দিপক, হাসান আহমদ রাসেল, সহ সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রহমত আহমদ টিটু, সেচ্ছাসেবক দল নেতা সৈয়দ মিজান, মহানগর যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ রাবেল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিন আহমদ,নাহিদ আহমদ,তফফাজ্জুল হক সুমন, বিমান বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রাশেদুজ্জামান রাশেদ, কবি ও সংগঠক রিপন মিয়া, ইয়াসিন আহমদ মান্না ও সেলিম আহমদ প্রমূখ।

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1875/feed 0
কেমুসাসের ১২৩১তম সাহিত্য আসর https://www.akashbangla.com/archives/1872 https://www.akashbangla.com/archives/1872#respond Thu, 15 May 2025 17:31:47 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1872
ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ১২৩১তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর গতকাল (১৫ মে ২০২৫) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ কেমুসাসের সাহিত্য আসর কক্ষে সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
ছাড়াকার আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় আসরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাইরেক্টর কবি আমিনুল ইসলাম কাজল, বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক অধ্যাপক কবি বাছিত ইবনে হাবীব, কবি মাহফুজ জোহা ও ছড়াকার নাঈমুল ইসলাম গুলজার।
সাহিত্য আসরের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জুবের আহমদ সার্জন। আসরে লেখা পাঠে অংশনেন আমিনা শহীদ চৌধুরী মান্না, আতাউর রহমান বঙ্গী, সাজন আহমদ সাজু, ওমর ফারুক, আলিম উদ্দিন আলম, জুবের আহমদ সার্জন, কে এম জুমায়েল বক্স, কামাল আহমদ, সুফি আকবর, সাজিদ নওফেল, মোহাম্মদ আল ওয়ালিদ প্রমুখ। গান পরিবেশন করেন বাউল উদাশি লাল, কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, মো. বাহাউদ্দিন বাহার ও লিলু মিয়া। সেরা লেখক মনোনীত হন আমিনা শহীদ চৌধুরী মান্না।
]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1872/feed 0
সিলেটে কবি মুকুল চৌধুরীর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল https://www.akashbangla.com/archives/1832 https://www.akashbangla.com/archives/1832#respond Sun, 04 May 2025 18:35:58 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1832 বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক সোলায়মান আহসান বলেছেন, মুকুল চৌধুরী ছিলেন একজন বিশ্বাসী ও স্বাপ্নিক কবি। তিনি বাস্তববাদীতায় বিশ্বাসী একজন স্বাধীনচেতা কবি হিসেবে নিরবে সাহিত্যের চর্চা করে গেছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে ও অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে মুকুল চৌধুরী নিজস্ব যোগ্যতায় সাহিত্য জগতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছেন।
এ দেশে একাত্তরের পর সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের মতো শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও যখন নৈরাজ্য হানা দিয়ে আমাদের জাতিসত্তা ও আত্মপরিচয়, নিজস্বতা তছনছ করে দিচ্ছিল তখন এর বিপরীতে কতিপয় ব্যক্তি ইতিবাচক তৎপরতা ও সৃজনশীলতা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাদের মধ্যে মুকুল চৌধুরী অন্যতম। সত্তর দশকে চট্টগ্রাম, আশির দশকে সিলেট জেলায় কবি আফজাল চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘স্যাড জেনারেশন’ ও ‘সংলাপ সাহিত্য সংস্কৃতি ফ্রন্টে’র মাধ্যমে জমাট বঁঁাঁধে। কবি মুকুল চৌধুরী সংলাপের তৎপরতার সাথে সম্পৃক্ত শুধু ছিলেন না, মূল কর্মপরিকল্পের ধারায় নিজেকে নিযুক্ত রেখেছেন। কবি আল মাহমুদের মতে ‘যে চার-পাঁচজন কবিকে আমি আশির দশকের অন্যতম কবি বলে মনে করি মুকুল চৌধুরী তাদেরই একজন।
তিনি আল্লাহর বিধান ইসলামের বাস্তব অনুসারী। তিনি ইসলাম ও মুসলিমের বিজয় দেখতে প্রত্যাশী ছিলেন।
তিনি শনিবার সন্ধ্যায় কবি আফজাল চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে কবি মুকুল চৌধুরীর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কবি আফজাল চৌধুরী ফাউন্ডেশন এর সভাপতি কবি কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও ছড়াকার কামরুল আলমের সঞ্চালনায় আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক প্রাবন্ধিক জাহেদুর রহমান চৌধুরী।
স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক শাহ নজরুল ইসলাম ও দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক, সিলেট কেন্দ্রীয় লেখক ফোরামের সভাপতি কবি আমিনুল ইসলাম, কবি রুহুল ফারুক,কবি বাছিত ইবনে হাবিব, কবি মুহিত চৌধুরী, কবি নাজমুল আনসারী, কবি আব্দুল মুকিত অপি, সহকারী অধ্যাপক এম. এ আজিজ, প্রভাষক শহিদুল ইসলাম, দি নিউ নেশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান ও সিলেট কেন্দ্রীয় লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমদ শফি, এডভোকেট জুনেদ আহমদ, কলামিস্ট বেলাল আহমদ চৌধুরী, মোঃ কামরুজ্জান, ফজলুর রহমান জুয়েল,তাসনিমা খানম বিথী ও কানিজ ফাতেমা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন, কবি আফজাল চৌধুরীর পুত্র জুন্নুরাইন চৌধুরী ও কবি মুকুল চৌধুরীর পুত্র মাবরুর কবির চৌধুরী সায়েম। মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ক্বারী ওমর ফারুক। মোনাজাত পরিচালনা করেন কবি ফয়জুল হক।

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1832/feed 0
ফেইসবুক পোস্ট : বিশিষ্টজনের কাছে ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক https://www.akashbangla.com/archives/1820 https://www.akashbangla.com/archives/1820#respond Thu, 01 May 2025 08:05:12 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1820 সিরাজুল হক একটি নাম একটি ইতিহাস। সিলেটের সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গনে সবার কাছে ঔপন্যাসিক হিসেবে বেশ পরিচিত। তবে কবিতা ও ছড়ার মান ছিল উচু মানপর। সাহিত্য আসরে ছিলো সরব উপস্থিতি। অসুস্থ না হলে সাহিত্য আসর মিস করতেন না। সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট মোবাইল পাঠাগার, সিলেট লেখক পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদ, সাইক্লোন কেন্দ্রীয় সংসদ সহ সব সাহিত্য আসরে তিনি নিয়মিত যেতেন। লেখা পাঠ করতেন। আলোচনা রাখতেন। কেমুসাসের পাঠাগারে প্রচুর পড়াশোনা করতেন। বিভিন্ন বিষয়ে অনেক জ্ঞান রাখতেন তিনি। গত ১৫ এপ্রিল ২০২৫ তিনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

কবি, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক সহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন। স্মৃতিচারণের মাধ্যমে উঠে এসেছে ঔপন্যাসিক সিরাজুল হকের জীবনের বিভিন্ন দিকের আলোচনা। চলুন পড়া যাক বিশিষ্টজনের কাছে কেমন ছিলেন সিরাজুল হক। লেখাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে সবার ফেইসবুক থেকে।

কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস সিলেটের ব্যুরো প্রধান, গল্পকার সেলিম আউয়াল বলেন, ‘ঈদের পরের সাহিত্য আসরগুলোতে সিরাজ ভাইকে দেখতে না পেয়ে তার খোঁজ নিতে শুরু করেন কবি ফয়জুল হক। শেষ পর্যন্ত আজ (১৯ এপ্রিল ২০২৫) বিকেলে তিনি তার ফাজিলচিস্তের বাসায় গিয়ে জানতে পারেন- কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাপ্তাহিক সাহিত্যসভাগুলোতে আজীবন উপস্থিত ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক (সিরাজ ভাই) গত ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দোয়ারাবাজার এলাকায় তার গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেছিলেন। মহান আল্লাহপাক তাকে জান্নাত নসিব করুন।’

রাজনীতিবিদ ও কবি সালেহ আহমদ খসরু বলেন, ‘হঠাৎ বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো। তবে কি উনাকে ভালবেসেছিলাম!! ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। প্রচন্ড মেধাবী ছিলেন।’

সিলেট লেখক পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি, সিলেট মোবাইল পাঠাগারের সাবেক সভাপতি দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী বলেন, “সিলেটের সাহিত্যঙ্গনে নিখাত সাহিত্য প্রেমিক, সাহিত্যপ্রেমিক এক উজ্জ্বল নক্ষত্র যাকে আমরা ঔপন্যাসিক সিরাজুল ইসলাম নামে জানি। তবে তাঁর চিন্তক কলম শক্তি ঔপন্যাস ছাড়াও কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, ইতিহাস ও গবেষণায় সদাসর্বদা তথ্য উদঘাটনের ক্ষেত্রে সাহিত্যের পাতায় তাঁর চোখ প্রাণ নিমজ্জিত থাকতো। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে প্রত্যেক দিন গবেষণায় নিমজ্জিত থাকতেন তাছাড়াও কেমুসাসের সাহিত্য আসর, সিলেট মোবাইল পাঠাগার, সিলেট লেখক পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদ, সাইক্লোনের সাহিত্য আসরে নিয়মিত আসতেন। কোনো সাহিত্য আসরে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন সেটা কল্পনা করা যায় না। বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। আমার ধারণা জীবনের শুরু থেকেই সাহিত্য চর্চার সাথে উৎপৎভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। তাই আমাদের সিলেটের সাহিত্যকর্ম বিচারে সৃষ্টি শিল্পীর তিনি প্রশংসার পঞ্চমুখ ছিলেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর জীনটাই সাহিত্যে ভরপুর। আমাদের জানামতে উনার দুই ছেলে এক মেয়ে। এক ছেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হিসেবে বর্তমানে আমেরিকাতে পিএইচডি ডিগ্রি করছেন। আমি তাঁর (সিরাজ ভাই) আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি”

কবি আবু সালেহ আহমদ বলেন, ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সিরাজুল হক একজন লেখক, সাহিত্যসেবি, শিক্ষকতা করেছেন। কেমুসাস লাইব্রেরীতে প্রচুর পড়াশোনা করতে দেখেছি। সিলেট সাহিত্যপাড়ার নিবেদিত একজন প্রাণ পুরুষ ছিলেন। সহজ সরল মানুষটি সাইক্লোন, ইউ এস এ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম, কেমুসাস, মোবাইল পাঠাগার, শাহজালাল সাহিত্য ফোরাম সহ বিভিন্ন আসরে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। কেমুসাস সাধারণত সম্পাদক, গল্পকার সেলিম আউয়াল ভাইয়ের পোস্ট থেকে জানলাম গত ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ইদানিং উনার কথা বারবার মনে পড়ছিল। এত নিরবে তিনি চলে যাবেন ভাবলে খুবই কষ্ট লাগে। আমরা ইউ এস এ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরামের পক্ষ থেকে শোকপ্রকাশ করছি এবং দোয়া করি সিরাজুল হক ভাইকে আল্লাহ তায়ালা যেন বেহেস্তের সর্বোচ্চ স্থান জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন (আমিন)।’

প্রাবন্ধিক শামসীর হারুনুর রশীদ বলেন, ‘চলে গেছেন না ফেরার দেশে সিলেটের এক শক্তিমান তত্ত্ববিদ, কবি ও ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক। ফেসবুকে খবরটি দেখে খুবই মর্মাহত হলাম। মহান আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুন আমিন। তিনি বাস্তবিক অর্থে একজন পণ্ডিত ছিলেন। কাউকে বিনা চ্যালেঞ্জে ছাড়তেন না; ছিল বুকভরা সাহস ও যোগ্যতা। মা-উপন্যাসের লেখক সিরাজুল হক ভাই ছিলেন নিউরুলুজি বিশেষজ্ঞ। কখনো প্রয়োজনে কখনো মজাকরে নানা সময়ে বিভিন্ন তথ্য জিজ্ঞাসা করতাম, রেফারেন্স ভিত্তিক উত্তর দেয়া তার জন্য স্বাভাবিক ছিল। বিভিন্ন বিষয়ে সহমতের চেয়ে ভিন্ন মত পোষণ করা ছিল সিরাজ ভাইয়ের স্বাতন্ত্র্য। জমিয়ে রাখতেন সিলেটের সাহিত্য আসরগুলো। আমাকে খুবই স্নেহ করতেন এবং বলতেন আপনি দেখছি অনেক পড়েন। এভাবে সকলকে চলে যেতে হবে একদিন না একদিন। বিদায়বেলায় আমাদের ওফাতটা যেন আনন্দময় হয়—এজন্য লেখকদের পরস্পরে যোগাযোগ থাকা খুবই দরকার। বিশেষ করে সিনিয়ররা তরুণদের কাছে টানুন, জ্ঞানকে কবরে শায়িত করার চেয়ে বাঁচিয়ে রাখা নিশ্চয়ই ভালো। সবাই সুস্থ এবং ভালো থাকুন, এই প্রত্যাশা।’

কবি শান্তা কামালী বলেন, ‘আমি সিলেটে যে কয়টা সাহিত্য অনুষ্ঠানে গিয়েছি, মোটামুটি সব কটাতেই উনাকে দেখতে পেয়েছি। কিন্তু আর কোনো দিন দেখতে পাবো না! এইটা ভেবে ভীষণ রকমের একটা কষ্ট অনুভব করছি। তিনি কথাসাহিত্যিক সিরাজুল হক। তবু তো একজন ফয়জুল হক ভাই ছিলেন উনার খবর নেওয়ার জন্য। তিনি তার খোঁজ নিতে বাড়ি পর্যন্ত চলে গেছেন! যদিও গিয়ে তাকে পাননি। জানতে পারলেন, তিনি গত ১৫ এপ্রিল এই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। কিন্তু ভাবছি, আমার কি এমন কেউ আছেন, যিনি বা যাঁরা এভাবে আমার খবর নেবেন?’

কবি সাজন আহমদ সাজু বলেন, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরের নিয়মিত চেনা মুখ ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক ভাই ইন্তেকাল করেছেন গত ১৫ ই এপ্রিল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন… ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক ভাই সকলের পরিচিত প্রিয়ভাজন, উনার জ্ঞানগর্ভ আলোচনা কারো পছন্দ হতো, কারো অপছন্দ লাগতো স্পষ্টবাদী সাহিত্য আলোচনা। সরলে গরল মিশানো আমার বড্ড অপছন্দ, মুখের উপর তেতো সত্য কথা বলতে পারাটা ব্যক্তিত্ব মনে করি আমি। মুখ আর মুখোশে ঢেকে থাকা সাহিত্য অঙ্গনে বর্ণচুরাদের সংখ্যা বেশি হলেও এক দুজন থাকেন স্রোতের বিপরীতে।আমি সেই ধারাকেই আঁকড়ে ধরে পথ চলি। কেমুসাস কিংবা মোবাইল পাঠাগারে সিরাজ ভাইর বৈজ্ঞানিক আলোচনা আমি উপভোগ করতাম।

গত বৃহস্পতিবার সাহিত্য আসর শেষ করে চা চক্রে কবি মাহফুজ জোহা আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন সিরাজ ভাইকে দেখতে যাবো কি-না। তখন আমার সাথে রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলেন অন্য একটি গুরত্বপূর্ণ প্রোগ্রামে যাওয়া জরুরি থাকায় কবি মাহফুজ জোহাকে না বলতে হয়ছিলো, উনিও জানতেন না আমরা যাকে দেখতে যাবো উনি দিন তিনেক আগে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন।

আজ গল্পকার সেলিম আউয়াল ভাইর ফেইসবুক পোস্ট দেখে জানতে পারলাম তিনি গত ১৫ এপ্রিল আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। বিষয়টি দু:খজনক, সকলের পরিচিত একজন লেখক আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেলেন আমরা সাহিত্যের লোক জানতেও পারলাম না, এর দায় কার উপর বর্তায়। সিরাজ ভাই’র পরিবারের, সাহিত্যকর্মীদের নাকি মিডিয়া কিংবা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি কিংবা মিডিয়া ব্যক্তিদের কিছু হলে ঘটা করে প্রচার হয় অথচ একজন শব্দশ্রমিকদের এই অকাল প্রয়াণ কেউ জানতেও পারলোনা, যা অত্যন্ত পরিতাপের।
আমাদের সাহিত্য অঙ্গনের সবার জন্য সিরাজ ভাইর ঘটনা একটি শিক্ষণীয় বার্তা-পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ঐক্য, যোগাযোগের সেতুবন্ধন তৈরি অত্যাবশ্যক, পাশাপাশি আমাদের পরিবারের লোকদেরও সাহিত্যের সাথে নূন্যতম সম্পৃক্ততার একটা ম্যাসেজ সিরাজ ভাই’র মৃত্যু দিয়ে গেলো।একজন সিরাজ ভাই কত জনপ্রিয় আর সকলের প্রিয়ভাজন ছিলেন উনার ফ্যামিলি হয়তো তা অনুধাবনও করতে পারেনি। আজকের এই মাতম থেকে লেখকদের পরিবারও উপলব্ধি করুন সাহিত্য যুগে যুগে কালে কালে মানুষের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করে,আমাদের সৃষ্টি আমাদের সাহিত্যকর্ম মানুষের মনে দাগ কাটে। আল্লাহ প্রিয় মানুষ ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক ভাইকে জান্নাতবাসী করুণ (আ-মিন)।”

কবি এম আলী হুসাইন বলেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন কবি, ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক আমাদের মাঝে নেই খবর শুনে খুবই মর্মাহত হলাম। তাঁর সাথে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ এর সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে তিনি নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন। তাঁর মৃত্যুর খবর কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক গল্পকার সেলিম আউয়াল ভাইয়ের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারি তিনি গত ১৫ এপ্রিল ইন্তেকাল করেছেন। একজন সাদামাটা কবির জন্য মহান আল্লাহপাক এর কাছে প্রার্থনা করি তাঁকে যেনো পবিত্র জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। আ মীন।’

প্রবাসী বাংলাদেশি লেখক জুনায়েদুর রহমান বলেন, “ঔপন্যাসিক সিরাজুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আমি একটা লেখা পোস্ট করেছিলাম। এতে অনেকে হয়তো ভেবে নিবেন, সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনের মানুষদেরই সব দায়। বিষয়টি ভিন্ন আঙ্গিকে ব্যাখ্যা করি। মরহুম সিরাজ চাচা কিছুটা ভিন্ন টাইপের মানুষ। তিনি কারও সাথে যোগাযোগ রাখতেন না। তাঁর কোনো বন্ধু নেই। এমনকি তাঁর কোনো স্মার্ট ফোনও নেই। এজন্য কোনো সমস্যা হলে কিংবা তিনি অসুস্থ হলে তাঁর খোঁজ পাওয়া টা স্বাভাবিকভাবেই মশকিল। সর্বশেষ হুট করে তিনি মারা যাবার পর যখন কেমুসাসে আসছেন না তখন সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনের মানুষরাই বের করেছে তিনি আর বেঁচে নেই। কিন্তু এটাও তো হতে পারতো, তিনি অসুস্থ হয়েছেন কিংবা মারা গেছেন তাঁর পরিবারের লোকজন কেমুসাসের দারোয়ান কে অন্তত সংবাদ টা দিয়ে গেছে। কিংবা শ্রদ্ধাভাজন সেলিম আউয়াল বা অন্য কাউকে একটা ফোন করেছে।

অনেকে জেনে অবাক হবেন, ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক এর এক ছেলে শাবিপ্রবির প্রফেসর। সম্ভবত তিনি বর্তমানে আমেরিকায় পিএইচডি করছেন। এছাড়া উনার এক মেয়ে এবং মেয়ের জামাই এই শহরেই কলেজের লেকচারার। এরকম সচেতন উত্তরাধিকারী আরও দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করি। সব দায় সাহিত্য অঙ্গনের মানুষের নয়। আমাদের ব্যক্তিগত এবং পরিবারেরও দায় আছে৷ আমরা সবাই এই মানুষ টার জন্য মহান রবের কাছে দোয়া করি।”

কবি মনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক, সিলেটের বিভিন্ন সাহিত্য আড্ডা-অনুষ্ঠানে ছিল তাঁর সরব উপস্থিতি। ছিলেন কিছুটা গম্ভীর প্রকৃতির, তবে বক্তব্যে বুঝা যেতো তাঁর তাত্ত্বিকতা। সিলেটের প্রথাগত কবি, সাহিত্যকদের চেয়ে তিনি অবশ্যই আলাদা ছিলেন। আমার অল্প দিনের দেখায় মনে হয়েছে, সিলেটের তথাকথিত সাহিত্যঙ্গন উনাকে অবমূল্যায়ন করছে! তবুও তিনি উপস্থিত থাকতেন। এটাই হয়তো ছিল তার সহজ, সরল মনে বহিঃপ্রকাশ।

তাই বলে এতো অবহেলায় এতোটাই নিবৃতে চলে গেলেন তিনি। গত ১৫ এপ্রিল তিনি মারা গেলেন। অথচ যেই সাহিত্য আড্ডা-অনুষ্ঠান গুলোতে তিনি জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় গুলো ব্যয় করেছেন সেখানকার উপস্থিত মহলের কেউ জানেন না সে খবর! ৫ দিন পর আজ গল্পকার ও সাংবাদিক সেলিম আওয়াল ভাইয়ের ফেসবুক পোস্টের বদৌলতে খবর হয়েছে মহলে। এমনটা কেন? নিজেকেই প্রশ্ন রাখি। এই দায় আমার, আমাদের।’

মোঃ শরীফ আহমদ বলেন, ‘খবর শুনে কষ্ট লাগলো! মানুষটির সাথে কতো সাহিত্য অনুষ্ঠান করেছি,যথেষ্ট মেধাবী ছিলেন,স্পস্ট ভাষী ও আবেগময়ী বক্তা ছিলেন।খুব বড় মাপের একজন পাঠক, কেমুসাসের সিংহভাগ বই পড়ে শেষ করেছেন যিনি আমাদের সিরাজ ভাই। আল্লাহ যেন জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করেন।”

নাম না জানা একজন লেখক বলেন, সিরাজ ভাইয়ের সাথে হায় হ‍্যালো সম্পর্কের বেশি ছিলো না কখনও তবে তিনি প্রতি সাহিত‍্য আসরে উপস্হিত থাকতেন, লেখা পড়তেন। অনেক সময় তার কঠিন লেখা বক্তব্য অনেকের ভালো লাগতোনা এতে তিনি রাগ করলেও রাগ বেশি সময় রাখতে পারতেন না পরবর্তী সপ্তাহে তিনি সবার আগে ঠিকই আসর গুলোতে আসতেন।আজ তার মৃত্যুর খবর শুনে মহান আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করছি আল্লাহপাক য়েন সিরাজ ভাই কে ক্ষমা করেন এবং জান্নাত দান করেন (আমীন)।

ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক কে নিয়ে আরো যারা লিখেছেন বা লিখবেন সবার লেখা একসাথে করে একটা বই বের করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। তাই, যারা আমার এই লেখাটি পড়বেন সবাই সিরাজ ভাইকে নিয়ে লেখাটি আমার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ।

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1820/feed 0
কবি মুকুল চৌধুরী ও ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক’র জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মরণসভা সম্পন্ন https://www.akashbangla.com/archives/1785 https://www.akashbangla.com/archives/1785#respond Sun, 27 Apr 2025 14:56:32 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1785 সদ্য প্রয়াত আশির দশকের শক্তিমান কবি মুকুল চৌধুরী ও প্রথিতযশা ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক’র জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মরণসভার আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর অন্বেষণ।

শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে স্মরণ সভা অনুষ্টিত হয়।
আলোর অন্বেষণ’র সভাপতি সাজন আহমদ সাজু’র সভাপতিত্ব এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগের পরিচালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় তেল বিপনন প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানির পরিচালক কবি ও বাচিকশিল্পী সালেহ আহমদ খসরু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী,সিলেট লেখক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সাইফুল করিম হায়াত,সাইক্লোন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোয়াজ আফসার, জসিম বুক হাউস সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ছয়ফুল আলম পারুল,গাঙচিল সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি জগলুল হক,কবি সুফিয়া জমির ডেইজি,কবি মাহফুজ জোহা।

আলোর অন্বেষণ সহ সভাপতি নাহিদ আহমদের পবিত্র কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন কবি আমিনা শহীদ মান্না,কবি মকসুদ আহমদ লাল,কবি ও সংগঠক রিপন মিয়া,কবি সাজ্জাদ আহমদ সাজু,জসিম বুক হাউজের প্রকাশক জসিম উদ্দিন,আলোর অন্বেষণ’র সহ সভাপতি সাইদ মাহমুদ ওয়াদুদ, সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জুল হক সুমন,প্রচার সম্পাদক আল আমিন হোসেন,ধর্ম সম্পাদক হাসান আহমদ সানি,গীতিকার কুবাদ বখত রুবেল,ফাতেহা বেগম,ইমন আহমদ,রেজুয়ান আহমদ,সোহেল খান প্রমুখ।

স্মরণ সভায় প্রয়াত কবি মুকুল চৌধুরী ও ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক’র স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে আলোচকরা বলেন আমরা খুব অল্প দিনের ব্যবধানে সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনের দুই পরিচিত মুখকে হারিয়েছে, তাদের এই অকাল প্রয়াণ সাহিত্যের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি।

সমাজের গুণিজন লেখক-সাহিত্যিকদের স্মরণ করে তাদের কর্মের  মূল্যায়ন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব,কবি মুকুল চৌধুরী ও ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক’র অপ্রকাশিত লেখাগুলো পুস্তক আকারে সংরক্ষণ করে রাখতে আমরা সকলে কাজ করা করা উচিৎ।

একজন লেখক তার লেখনীর মাধ্যমে মানুষের মাঝে অনাদিকাল বেঁচে থাকতে পারেন।
সাহিত্যের জন্য নিরন্তর কাজ করে যাওয়া প্রয়াত দুই গুণিজনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে সভা সমাপ্ত হয়।

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1785/feed 0
সিরাজুল হক ছিলেন একজন নিভৃতচারী লেখক https://www.akashbangla.com/archives/1782 https://www.akashbangla.com/archives/1782#respond Sun, 27 Apr 2025 13:55:00 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1782
প্রাচীন একটি প্রবাদ আছে, সমাজ থেকে যখন একজন বয়স্ক লোক চলে গেল, তখন যেন একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি পুড়ে গেল। সিরাজুল হক কেমুসাসের সাহিত্য আসরের একজন নিয়মিত লেখক ছিলেন। কেমুসাস পাঠাগারেও তিনি নিয়মিত আসতেন, বই পড়তেন। তিনি ছিলেন একজন নিভৃতচারী লেখক। তাঁর ইন্তেকালে আমরা সবাই শোকাহত।
ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ১২২৯তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে আলোচনাকালে আলোচকগণ উপরোক্ত কথা বলেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৫ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ কেমুসাসের সাহিত্য আসর কক্ষে সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে ও ছাড়াকার সাজ্জাদ আহমদ সাজুর সঞ্চালনায় আসরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক অধ্যাপক কবি বাছিত ইবনে হাবীব, কথাসাহিত্যিক মোহাম্মদ আব্দুল হক, কবি মাহফুজ জোহা ও কবি ছয়ফুল আলম পারুল।
সাহিত্য আসরে লেখা পাঠ করেন মোয়াজ আফসার, আতাউর রহমান বঙ্গী, মকসুদ আহমদ লাল, জুবের আহমদ সার্জন, কামাল আহমদ, নাহিদ আহমদ, মোহাম্মদ আল ওয়ালিদ, তারেক রহমান, মুহা. হুসাইন হামিদ, মো. সোয়েব আহমদ, মো. দিদার আহমদ প্রমুখ। গান পরিবেশন করেন লিলু মিয়া। আসরের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জসিমউদ্দিন রাহমানি। সেরা লেখক মনোনীত হন মোহাম্মদ আল ওয়ালিদ।
]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1782/feed 0
কবি মুকুল চৌধুরী’র মৃত্যুতে আলোর অন্বেষণ’র শোক প্রকাশ https://www.akashbangla.com/archives/1743 https://www.akashbangla.com/archives/1743#respond Wed, 23 Apr 2025 11:56:32 +0000 https://www.akashbangla.com/?p=1743 বাংলা সাহিত্যের অন্য্যতম শক্তিমান কবি, সাহিত্য বোদ্ধা, সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব কবি মুকুল চৌধুরী’ মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর অন্বেষণ এর নেতৃবৃন্দ।

এক শোকবার্তায় আলোর অন্বেষণ সভাপতি সাজন আহমদ সাজু বলেন, কবি মুকুল চৌধুরী ছিলেন আশির দশকের অন্যতম শক্তিমান কবি। তার মৃত্যু সংবাদ সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

কবি ছিলেন একজন স্বজ্জনব্যক্তি, সাহিত্য অনুরাগী এবং আল্লাহ ভীরু মানুষ, তাঁর মৃত্যু সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি। কবি মুকুল চৌধুরী নিজের অনবদ্য সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন অনাদিকাল।
বহুগ্রন্থ প্রণেতা একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিকের মৃত্যুতে আলোর অন্বেষণ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। আমরা কবির বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকাভিভূত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

]]>
https://www.akashbangla.com/archives/1743/feed 0