যুবদল নেতা মো. শাহজাহানের পিতাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে আওয়ামীলীগের গুণ্ডারা। গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিলেটের হরিপুরে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জৈন্তাপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. শাহজাহানের সাথে বিরোধ চলছিলো স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাদের। এর জেরে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৫নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিক আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং জৈন্তাপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও সাবেক জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা জয়নাল আবেদীনের ক্যাডার বাহিনি। একপর্যায়ে তাঁর পিতা বশির মিয়াকে (৬০) জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় তাকে শারীরিক নির্যাতন করে সিলেট হরিপুর হাইওয়ে রোডের পাশে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিকিৎসার জন্য দ্রুত জৈন্তাপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় খুনিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে গেলে আওয়ামীলীগের নিয়োগকৃত পুলিশ স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতাদের চাপে মামলা নিতে রাজি হয়নি।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশে থাকা অবস্থায় আওয়ামীলীগের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার ছিলেন যুবদল নেতা শাহজাহান। অনেকবার তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার উপর হামলা করেছে আওয়ামীলীগের লোকজন। ৫ আগস্টের পরে তার বড় ভাইকে তারা অপহরণ করে বিশাল মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত করে দেয়। পরবর্তীতে প্রণের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। গতকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার পিতা বশির মিয়াকে তুলে নিয়ে যায় আওয়ামলীগের ক্যাডাররা। পরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে হরিপুর রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়।
গণমাধ্যমকে শাহজাহানের মা দিলারা বেগম বলেন, ৫নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিক আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং জৈন্তাপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও সাবেক জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা জয়নাল আবেদীনের গুণ্ডাবাহিনি গতকাল রাতে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা অসুস্থ বশির মিয়াকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এই বিষয়ে আমি থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নিতে রাজি হয়নি। আমি বর্তমান সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে আমি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি এন্ট্রি) করেছি।’