১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিল না করলে তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করতে হবে
—-দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোখলেস উর রহমান বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম এর নেতৃবৃন্দ। গতকাল ২৭ জানুয়ারি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম কেন্দ্রীয় সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী নাসির উদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জননেতা মকসুদ হোসেন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি সিনিয়র সচিব এর ইমেইলে প্রেরণ করা হয়।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থানের প্রধান লক্ষ্য দুর্নীতিমুক্ত বৈষম্যহীন দেশ গড়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্র সংস্কার। অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠন হওয়ার পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যদের বিষয় সম্পত্তির হিসাব প্রতি ২ বছর পর পর সরকারের নিকট দাখিল করার বিধান কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ইতিমধ্যে সেই উদ্যোগে ২টি তারিখ পেছানো হয়েছে। বিগত সরকার এই মহতী উদ্যোগ নিয়েছিল বটে কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
দুর্নীতির উৎসস্থল হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারী। সকল নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার অন্যতম উৎস সর্বগ্রাসী দুর্নীতি। প্রায় হাজার খানিক যুবকের আত্মদান, শত শত মানুষের পুঙ্গুত্ববরণ ও রাজপথে আবাবিল পাখি মত কোটি কোটি জনতার সমর্থন নিয়ে আসা এই বিপ্লবী সরকারের আমলেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যদের বিষয় সম্পত্তির হিসাব দাখিলের এই মহতী উদ্যোগ কোন ক্রমেই ব্যস্তে দেয়া যাবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের বেধে দেয়া বর্ধিত আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পদের হিসাব সরকারের নিকট দাখিল না করলে, তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করতে হবে। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের আগে সকল স্থানীয় নির্বাচন করার জন্য ইতিমধ্যে সরকারি জরিপে দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ মতামত দিয়েছেন। জনগণের মতামতকে আমলে নিয়ে সরকারকে এগিয়ে যেতে হবে।
নেতৃবৃন্দ উদাহরণ দিয়ে বলেন, জনপ্রিয় ১/১১ সরকার সংসদ নির্বাচনের আগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করতে চেয়ে ছিল। সেই সময় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি এতে রাজি হয়নি। ফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের পরে ২০০৯ সালে উপজেলা নির্বাচনে বেশির ভাগ সরকার সমর্থিত প্রার্থীরা জিতে যান। সেই সময়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা একটি মন্তব্য করেছিলেন- “দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়”।
নেতৃবৃন্দ এই কথাকে ধ্রুব সত্য আখ্যা দিয়ে বলেন- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে সঠিক জনপ্রতিধি নির্বাচিত হবেন।
নেতৃবৃন্দ গত ১৯ জানুয়ারি-২০২৫ দৈনি প্রথম আলো পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় “স্বাস্থ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় গবেষণা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে দৃষ্টি আকর্ষণ বলেন, স্বাস্থ্য খাতে ১৫ বছরে গবেষণা হয়ে ১২৫১টি। একটি গবেষণার জন্য গড় বরাদ্দ ৩,২১,৪৬১ টাকা। বাংলাদেশ মেডিকেল রিচার্স কাউন্সিল থেকে প্রতি বছর গড়ে ৮৩টি গবেষণায় অর্থায়ণ করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের করা হাজারের বেশি গবেষণা দেশের মানুষের কোন কাজে আসেনি। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এই প্রতিষ্ঠানের গবেষণা মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। এমনিতে সরকারি হাসপাতে সুচিকিৎসা ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তাদের অস্বাভাবিক ফির কারণে গরীব রোগীরা সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, ডক্টর এসোসিয়েশন ও এনডিএফ নামে চিকিৎসকদের সংগঠন, হাসপাতালের কর্মচারীদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে গঠিত সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
এছাড়াও একই দিন “দেশে চারটি প্রদেশের কথা ভাবছে কমিশন” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৪টি প্রদেশ নয়, দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরকে স্বাত্তশাসন সম্বলিত প্রাদেশিক ব্যবস্থা সম্পন্ন সরকার গঠন এখন সময়ের দাবী। বিজ্ঞপ্তি
আকাশ বাংলা ডটকম/একেজে