২রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৪:১৪
সংবাদ শিরোনাম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ছাতকে দৈনিক আলোকিত সিলেটের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত রোটারি ক্লাব অব মেট্রোপলিটন সিলেট’র উদ্যোগে টিউশন ফি ও বই উপহার এসএসসি পরীক্ষায় আল-মুছিম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাফল্য এক যুগে পদার্পণ উপলক্ষে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের শুভেচ্ছা শান্তিগঞ্জে সুরমা উচ্চ বিদ্যায় ও কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত সিলেটের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে প্রকল্প সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে – মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের বিশেষ সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ সিলেট মহানগরীর নতুন কমিটি অনুমোদন ছাতকে এসপিপিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি

আগে মাস্টার্স নাকি চাকরি? 

আবদুল কাদির জীবন
  • আপডেট বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
  • ২১৪ বার পঠিত
অনার্স পাস করার পর চাকরিপ্রার্থীরা দ্বিধায় পড়ে যান, আগে মাস্টার্স শেষ করবেন নাকি চাকরির চেষ্টা করবেন। আবার অনেক সময় প্রার্থীরা এমনটাও জিজ্ঞেস করেন, ‘সামনে বিসিএস বা ব্যাংকের বড় আকারের নিয়োগ… মাস্টার্স কন্টিনিউ করব, নাকি চাকরির প্রস্তুতি নেব?’
উন্নত বিশ্বে সাধারণত কেউ অনার্স বা স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত পড়াশোনার পর আর স্নাতকোত্তর করেন না। শিক্ষক এবং গবেষক ছাড়া সাধারণত কারো মাস্টার্স করার প্রয়োজনও হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় উচ্চশিক্ষা সহজলভ্য হওয়ায় বেকারদের মধ্যেই বহুসংখ্যকের মাস্টার ডিগ্রি আছে। ফলে মাস্টার্স না থাকলে চাকরির বাজারে নিজেকে এগিয়ে রাখা কঠিন হবে। এ ছাড়া আপনি যদি সরকারি চাকরি না পান, অর্থাৎ বেসরকারি চাকরি খুঁজতে হয়, সে ক্ষেত্রে মাস্টার্স না থাকলে পিছিয়ে পড়তে পারেন! দেখা গেল, বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম যোগ্যতা অনার্স চেয়েছে, কিন্তু অধিকাংশ প্রার্থীরা মাস্টার্স পাস আর আপনি শুধু অনার্স পর্যন্তই। এ ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে আপনার পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কাই সবচেয়ে বেশি। বেসরকারি চাকরিতে সাধারণত একাডেমিক যোগ্যতাকেই বড় করে দেখা হয়। তা ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক চাকরির পদোন্নতির ক্ষেত্রে মাস্টার্স পাসের জন্য আলাদা নম্বর বরাদ্দ থাকে।
তবে সরকারি চাকরি যদি আপনার একমাত্র লক্ষ্য হয়, তবে আপনি মাস্টার্সের চেয়ে চাকরি প্রস্তুতিকে বেশি গুরুত্ব দিতে পারেন। বেশির ভাগ সরকারি চাকরিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে চার বছর মেয়াদি অনার্স ডিগ্রি চাওয়া হয় (মাস্টার্সের প্রয়োজন হয় না)। মাস্টার্স ছাড়াই প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরি পাচ্ছেন, এ রকম উদাহরণ অহরহ। এমনকি অ্যাপেয়ার্ড (ফলপ্রত্যাশী) হিসেবে বিসিএসে আবেদন করেছেন, এমন ক্যাডার কর্মকর্তার সংখ্যাও কম নয়। উল্লেখ্য, একমাত্র বিসিএস পরীক্ষায় অনার্স ফলাফল প্রকাশের আগেই আবেদন করা যায়। এ ক্ষেত্রে চাকরি পাওয়ার পর আপনি চাকরির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়ে মাস্টার্স করতে পারবেন। যেমন-আপনি পুলিশে চাকরি পেলে সরকারের অনুমতি নিয়ে চাকরিরত অবস্থায় ক্রি*মিনোলজি (অ*পরাধবিজ্ঞান) নিয়ে মাস্টার্স করতে পারেন। আবার শিক্ষা বিভাগে চাকরি পেলে এমএড (মাস্টার্স ইন এডুকেশন) নিয়ে পড়াশোনা করে অসমাপ্ত মাস্টার্স সম্পন্ন করতে পারবেন।
তবে যেহেতু একটা দেশে সরকারি চাকরির সংখ্যা সীমিত, আপনি সরকারি চাকরি পাবেন, এটা অনেকটা অনিশ্চিতের মতোই। তাই সব কূল রক্ষা ও ভবিষ্যতে ঝুঁ*কি এড়াতে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, অনার্স শেষ করে মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে যাওয়া। বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাস্টার্সের ক্লাসের সংখ্যা ও চাপ কম থাকে। মাস্টার্সের পাশাপাশি রুটিন করে যতটুকু পারেন চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করুন।
.
পরামর্শ দিয়েছেন: রবিউল আলম লুইপা, বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2025 AkashBangla. Developed by PAPRHIHOST
Theme Dwonload From Ashraftech.Com
ThemesBazar-Jowfhowo