২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৮:১৬
সংবাদ শিরোনাম
শান্তিগঞ্জে সুরমা উচ্চ বিদ্যায় ও কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত সিলেটের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে প্রকল্প সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে – মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের বিশেষ সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ সিলেট মহানগরীর নতুন কমিটি অনুমোদন ছাতকে এসপিপিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি দোয়ারাবাজারে গৃহবধূ রোকসানা হত্যা : ঘাতক জসিমের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন পূর্ব পাগলা ইউপি জামায়াতের বায়তুলমাল পক্ষের প্রস্তুতি বৈঠক সম্পন্ন সিলেটে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা শুরু চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের কবল থেকে রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর Old Age Home—a Touching and Painful Reality By Md. Mahbub-ul Alam

নতুন সংস্কৃতির পথে ঢাবি: নিজ উদ্যোগে হল ছাড়লেন ছাত্রনেতা মহিউদ্দিন খান

আবদুল কাদির জীবন
  • আপডেট বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
  • ১১৭ বার পঠিত
ছাত্রত্ব শেষে নিয়ম মেনে হল ত্যাগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসিত ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ধারার সূচনা। নিজ উদ্যোগে হল ছাড়লেন ছাত্রনেতা মহিউদ্দিন খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর দীর্ঘদিনের একটি আলোচিত সংস্কৃতি ছিল, ছাত্রত্ব শেষ হলেও অনেক শিক্ষার্থীর হলে অবস্থান করা। এই অনৈতিক দখলদারিত্বে শুধুমাত্র প্রভাবশালী ছাত্রনেতারাই নয়, চাকরিপ্রার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীরাও জড়িয়ে পড়তেন। তবে গত বছরের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত ছাত্র-আন্দোলনের পর পরিস্থিতির ধীরে ধীরে পরিবর্তন শুরু হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে একটি ব্যতিক্রমী ও সচেতন সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনায় এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান। স্নাতকোত্তরের ফল প্রকাশের পরপরই তিনি নিজ উদ্যোগে হল ছেড়ে দিয়েছেন, যা বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
গত ২২ এপ্রিল প্রকাশিত স্নাতকোত্তরের ফলে মহিউদ্দিন খান তার ব্যাচে ৩.৯৭ সিজিপিএ পেয়ে প্রথম হন। এরপর ২৫ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি হল ত্যাগের ঘোষণা দেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, “হলের সুন্দর এই পরিবেশ চলমান থাকবে যদি ছাত্রজীবন শেষ হওয়ার পর আমরা নিয়ম মেনে হল ছেড়ে দিয়ে অনুজদের অধিকার বুঝিয়ে দিই। আর্থসামাজিক বাস্তবতায় সিদ্ধান্তটা কঠিন মনে হলেও, যারা ছাত্রলীগের জুলুম সহ্য করেছে, তারা আর নতুন জুলুমের জন্ম দিতে পারে না।”
মহিউদ্দিন খান আরও জানান, প্রথম বর্ষে হলে ওঠার ১২-১৩ দিনের মধ্যেই ‘গেস্টরুম’ নামক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তাকে হল ছাড়তে বাধ্য করে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় বর্ষের শেষদিকে লিগ্যাল এলিমেন্ট হিসেবে হলে থাকার সুযোগ পেলেও ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারির এক ভয়াবহ ঘটনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। সেই রাতে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হন শাহরিয়াদ ও মাহমুদ নামের দুই শিক্ষার্থী, যার প্রেক্ষিতে তিনিও নিরাপত্তার অভাবে হল ছাড়তে বাধ্য হন।
স্নাতকোত্তর শেষ করার পর নিয়ম মেনে হল ত্যাগ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “ছাত্রলীগ হলে সিট নিয়ন্ত্রণ করে শিক্ষার্থীদের উপর দখলদারি কায়েম করতো। কিন্তু জুলাইয়ের পর হলে এখন নিয়মতান্ত্রিকতা ফিরে এসেছে। গণরুম-গেস্টরুমের সেই জঘন্য চর্চা আর নেই। এখন সবাই নিয়মমাফিক হলে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন।”
মহিউদ্দিন খানের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। অনেকেই মনে করছেন, এই পদক্ষেপ ছাত্ররাজনীতিতে নৈতিকতার চর্চা এবং একটি সুস্থ সংস্কৃতির ভিত্তি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2025 AkashBangla. Developed by PAPRHIHOST
Theme Dwonload From Ashraftech.Com
ThemesBazar-Jowfhowo