বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
গত ৩ মে নিজ বাসভবনে হঠাৎ স্ট্রোক করেন এম এ মুছাব্বির। পরে তাকে সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় দুদিন পর নিয়ে আসা হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। সেখানে টানা তিনদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি।
আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ৯ বছর দেশে ফিরতে পারেননি মরহুম এম এ মুছাব্বির। রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায় বিচারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানের কারণে তার বাবাকে দেশে ফিরতে দেয়নি তৎকালীন সরকার। যার ফলে জীবনের শেষ ৯ বছর নির্বাসনে থাকতে হয় এম এ মুছাব্বিরকে।
মুশফিকুল ফজল আনসারী তার বড় ছেলে। ছোট ছেলে মাওলানা আবু সাঈদ আনসারী সৌদি আরবের প্রখ্যাত আলেম শায়েখ আব্দুর রহমান সুদাইসির ছাত্রদের একজন। তিনি সৌদি আরব থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের একটি ইসলামিক সেন্টারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া এম এ মুছাব্বির আরও তিন মেয়ে সন্তানের জনক।